মানুষ হয়ে জন্মেছেন অথচ মাথা ব্যথা হয়নি এমন মানুষ মনে হয় না পাওয়া যাবে। কাজের চাপে, টেনশনে, আবেগিয় নানা সমস্্যার প্রথম উপসর্গ মাথাধরা। মাথা ধরারই একটি চরমতম রুপ হল মাইগ্রেন এর যন্ত্রণা। বাংলায় যকে বলা হয় আধ কপালি ব্যথা।মাইগ্রেন শব্দটির উতপত্তি হয়েছে গ্রীক দুটি শব্দ থেকে যার অর্থ মাথার খুলির এক পাশের ব্যথা। একজন মাইগ্রেন ভুক্ত ভুগি মাত্রই জানেন এর যন্ত্রণা কত তীব্র।
মাইগ্রেন এর ব্যথার কিছু প্রধান কারন হল- টেনশন, অনিদ্রা, কাজের চাপ, ডিপ্রেশন, হরমনাল চেঞ্জ, অবসাদ, দীর্ঘ ভ্রমন, সময়মত না খাওয়া, ধুম্পান, দীর্ঘ সময় টিভি বা কম্পিউটারে কাজ করা, কড়া গন্ধ, বদ্ধ পরিবেশ, অতিরিক্ত আলো, কড়া সূর্যতাপ, প্রচণ্ড শব্দ ইত্যাদি।মোট কথা আধুনিক জুগের জীবন যাপনের সকল কুফলের একত্রীকরণ হল মাইগ্রেন।
এখন কথা হল এই অসম্ভব ব্যথাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। মাইগ্রেন কে নিয়ন্ত্রনের অ্নেক উপায় আছে, মুঠো মুঠো বড়ি গেলা থেকে শুরু করে জীবনে যাপনের ধরন বদলানো পর্যন্ত অনেক কিছুই হতে পারে এর নিয়ন্ত্রক। কিন্তু সব সময় চাইলেই সব কিছু নিয়ন্ত্রন করা যায় না। তাই আমাদের প্রথমেই উচিত এমন কিছু ব্যবস্থা গ্রহন করা যা আমাদের দীর্ঘ মেয়াদেও উপকারে আসবে এবং আমাদের শরীরের জন্য কম ক্ষতিকারক। এই ক্ষেত্রে খাদ্দ দ্রবের মাধ্যমে পুরো বিষয়টা নিয়ন্ত্রন করা নিয়ে বেপক গবেষণা চলছে।
খাদ্য বা ডায়েট চার্ট এর মাধ্যমে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রন এর জন্য প্রথমেই জানতে হবে মাইগ্রেন এর উদ্দিপক খাদ্যদ্রব্যগুলো কি কি! এক্ষেত্রে যেসব খাদ্য উদ্দিপকের কাজ করে তা হোল-
পনির
চকলেট
হট ডগ
ফ্যাটি ফুড
আইস্ক্রিম
কফি ও অন্যান্য কেফেইন জাতীয় খাদ্য
অ্যালকোহল
ধুমপান
শুকন ফল
পাকা কলা
মাশরুম
সয়া সস
দই
চিজ কেইক
বেগুন
বাদাম ও বাদামের মাখন
কেন্ড সুপ
পেয়াজ ইত্যাদি।
এখন কথা হোল যেহেতু মোটামুটি সব মজার খাবারেই মাইগ্রেনের বেথা ওঠে তাহলে কি সব খাওয়া বাদ দিয়ে দেবো! না অবশ্যই তা নয়, বরং সবই খাওয়া যাবে তবে পরিমিত মাত্র্রায়। কখনই পেট খালি রাখা যাবে না। কারন পেট খালি হলেই তা মাইগ্রেনের উদ্দিপকে পরিনত হবে। একটু একটু করে হলেও সারাদিন কিছুনা কিছু খাওয়া উচিত।
মাইগ্রেন প্রতিরোধ করে এমন কিছু খাবার হোল-
আদা
মাছ ও মাছের তেল
শাক শব্জি
অটমিল
গম
রসুন
আঙ্গুর ও আঙ্গুরের রস
টমেটো
কমলা
ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ খাদ্য
দুধ
আপ্রিকট
আপেল
পাস্তা
আজকের আলোচনায় যদিও শুধু খাদ্যের কথাই বলছি, কিন্তু পরিমিত আহারের সাথে সাথে ঘুম, ও ঔষধের প্রয়োগও অত্যন্ত জরুরী।আশা করছি আমার এই আলচনায় আপনার কিছু মাত্র উপকার হবে।অন্তত আগামি কয়েক দিন ব্যথা মুক্ত থাকুন। এই কামনায় শেষ করছি।
Tuesday, October 4, 2011
মাইগ্রেনের সমাধানে খাদ্য
Labels:
স্বাস্থ্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment