Monday, September 19, 2011

কুমিল্লায় পুলিশ-জামায়াত সংঘর্ষ, আটক ১৬

কুমিল্লা, সেপ্টেম্বর ১৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কুমিল্লা শহরে জামায়াত-শিবির ও পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে।

সোমবার শহরের চকবাজারে এ সংঘর্ষের পর ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট, শটগানের গুলি ও টিয়ার গ্যাস শেল ছুঁড়তে হয়েছে।

আহত পুলিশ সদস্যদের কুমিল্লা পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জামায়াত ও শিবিরের আহত কর্মীদের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেশব্যাপী বিক্ষোভের অংশ হিসেবে কান্দিরপাড় থেকে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।

এরপরও তারা মিছিল বের করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে।

এ সময় মিছিলকারীরা পুলিশের প্রতি গুলি করে ও ইটপাটকেল নিক্ষোপ করে।

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান কবির জানান, সংঘর্ষে দুই অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্টসহ ১০ জন পুলিশ আহত হয়েছে।

সংঘর্ষের সময় রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস সেল ও শটগানের গুলি করা হয়। সব মিলিয়ে অন্তত ৩শ' রাউন্ড গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয় বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে কান্দিরপাড় থেকে চকবাজার এলাকার ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। প্রায় দুইঘণ্টা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা চকবাজারে ফার্স্ট সিকিউিরিটি ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ দোকানপাট ও ৭-৮টি গাড়ি ভাংচুর করে।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার পর জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলাম, ওমর ফারুক, গোলাম সাদেক, মাইনুদ্দিন, এরশাদ মিয়া, মোখলেছুর রহমান মজুমদার, জাকির ভূইয়া, আবু বক্কর, আবদুল কুদ্দুস, শাহাদাত হোসেন, কামরুল, রবিউল্লা, এ আই মহসিন, আবদুল হালিম, মামুন, সরওয়ার আলমকে আটক করা হয়।

আহত পুলিশ সদসদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সাজিদ হোসেন, টুটুল চক্রবর্তী, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ, টিএসআই নুরুন্নবী, এসআই মোমেন, এএসআই নকূল চন্দ্র বিশ্বাস ও হালিবলদার সাত্তার। বাকিদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

শিবিরের কুমিল্লা শহর শাখার প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন জানান, তাদের অন্তত ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/২২২০ ঘ.

No comments:

Post a Comment