Monday, March 15, 2010

আলোচনায় যখন ‘হ্যাকার’

অনেকেরই মনে থাকবার কথা, হঠাৎ করে একদিন র্র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)’ র নিজস্ব ওয়েব সাইড উধাও হয়ে গিয়েছিল। হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিল বাহিনীটির গুরুত্বপূর্ন অনেক তথ্য। এর আগে পরে দেশে এমন ঘটনা অরো বেশ কয়েকবার ঘটেছে। বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী ওয়েকসাইড ‘হ্যাকিং’ হয়ে গেছে। তথ্য প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এ ব্যাপারে কোন কিনারা করে উঠতে পারেনি। তাই দেশ ডিজিটাল সবার সাথে সাথে আলোচনায় উঠে আসছে ‘হ্যকিং’ শব্দটি। আর এখন তারো চেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে ‘হ্যাকার’। তবে আলোচিত এ শব্দটির সূত্রপাত কিন্তু এদেশে নয়। যতদুর জানা যায় আলোচিত এ শব্দটির সূত্রপাত আমেরিকায়। ৪০ বছর বয়সী হ্যাকার গ্যারি মাকিনোন মার্কিন সরকারের নিরাপত্তা সিস্টেমে আঘাত হানেন। এই নিরাপত্তা সিস্টেমের মধ্যে আর্মি, এয়ারফোর্স, নেভি ও নাসা ছিল। হ্যাকিং ইতিহাসে এটাকেই বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম মিলিটারি হ্যাকিং এ্যাটাক হিসেবে ধরা হয়। আর গ্যারির এ কাজে তি হয় ৭ লাখ ডলার। বর্তমানেও হ্যাকার জগতের অধিপতি হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন তিনি।
হ্যাকিং বিশ্বের কমরেড জোনাথন জেমস তিনি নাসার নিয়ন্ত্রণাধীন আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থার ১৩টি কম্পিউটার থেকে মূল্যবান তথ্য হাতিয়ে নেন। তবে এর আগেও মাত্র ১৬ বছর বয়সে ডিফেন্স থ্রেট রিডাকশন এজেন্সিতে হ্যাকিং করার দায়ে জেল খাটেন। মজার তথ্য হচ্ছে জীবনের প্রথম হ্যাকিং করেই একটা ব্র্যান্ড নিউ পোর্শে গাড়ির মালিক হয়েছিলেন আরেক হ্যাকার কেভিন পোলসেন। বর্তমানে তিনি একজন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন।
তবে পত্রিকায় যে হ্যাকারকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি লেখালেখি হয়েছে তিনি হলেন মার্ক এ্যাবিনি। অবশ্য ফাইবার অপটিক নামেই তিনি বেশি পরিচিত। আর নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে সবচেয়ে পপুলার হ্যাকার ছিলেন ডেভিড স্মিথ। আরো মজার ব্যাপার হলো, হ্যাকার নিয়ে হলিউডে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি সিনেমাও তৈরী হয়েছিল। যাতে অভিনয় করেছিলেন জনি লি মুলার ও এ্যাঞ্জেলিনা জোলি। অথচ সিনেমাটি সারা বিশ্বে তোলপাড় করলেও রহস্যজনক কারণে বক্স অফিস হিট করতে পারে নি।

No comments:

Post a Comment